বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক পরিচালক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, গবেষক এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সভাপতি, সাবেক কুমিল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি ও ডিভার্স এডমন্টনের সম্পাদক প্রবীণ প্রবাসী সাংবাদিক দেলোয়ার জাহিদ।
গত বৃহস্পতিবার এক শোকবার্তায় দেলোয়ার জাহিদ বলেন, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ছিলেন তার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী এবং কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে শিক্ষকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবনে ঘনিষ্ঠ সহচর। আশির দশকে কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত তার সম্পাদিত সাপ্তাহিক সমাজকণ্ঠ পত্রিকায় তোফায়েল আহমেদ ছিলেন নিয়মিত অবদানকারী।
তিনি স্মরণ করেন, কুমিল্লা প্রেসক্লাবে দায়িত্ব পালনকালে কুমিল্লার তরুণ সাংবাদিকরা তোফায়েলের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছেন। সারা দেশে মানবাধিকার ও সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রয়াত ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী, সম্পাদক সানাউল্লাহ নূরী, শাজাহান মিয়া, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, আলতাফ হোসাইন প্রমুখের সঙ্গে কাজের সময় তোফায়েল আহমেদের অবদান ছিল অনন্য।
দেলোয়ার জাহিদ বলেন, “তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে কুমিল্লার গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে আমি তরুণ সাংবাদিকদের জন্য এক নতুন অনুপ্রেরণা পেয়েছি। গ্রামীণ জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আমরা সংবাদে তুলে ধরার শিক্ষা পেয়েছি তার কাছ থেকে।” তিনি আরও জানান, গোলাম মাহফুজ, অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, আমিনুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাবুল, খায়রুল আহসান মানিক, আলী আকবর মাসুম, বদিউল আমিনসহ অনেক সাংবাদিক তোফায়েলের সহযোগিতা ও সান্নিধ্য পেয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেলোয়ার জাহিদ বলেন, “বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়ে তার চিন্তা, গবেষণা ও লেখনী এক অমূল্য সম্পদ। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তার প্রস্তাবনাগুলো ভবিষ্যতেও নীতিনির্ধারকদের দিকনির্দেশনা দেবে।”
উল্লেখ্য, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ গত বুধবার রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
									 
					
